শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পুরুষরা কেন ‘বাজে ছবি’ ইনবক্স করে?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ডিজিটাল জীবনে এই সমস্যায় পড়েননি এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দেশ-বিদেশের একাধিক গবেষণা বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন নারী প্রায় প্রতিদিন তার ইনবক্সে অপরিচিত কোনো না কোনো পুরুষের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত ছবি পেয়ে থাকেন। একজন পুরুষ এমনটি কেন করেন, তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে বিখ্যাত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

 

সংবাদমাধ্যমটির এ বিষয়ে প্রতিবেদন করার উল্লেখযোগ্য কারণ আছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সম্প্রতি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়ারার তার নগ্ন ছবি ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছে। এনকোয়ারার বলছে, বেজোস তার বান্ধবীকে যে নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন, সেটি তাদের হাতে আছে। ঘটনাটি সামনে আসলে পুরুষদের ‘মানসিক দিক’ খতিয়ে দেখতে সিএনএনের এই প্রতিবেদন।

 

২০১৫ সালের একটি জরিপের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করছে, ওই জরিপে অংশ নেয়া ৮৮ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা এমনটি করেন।

নারীর আগ্রহ নিয়ে ভুল ধারণা: একজন নারী সত্যিকার অর্থে পুরুষের কী পছন্দ করেন, সে বিষয়ে অধিকাংশ পুরুষের কোনো ধারণা নেই। লস এঞ্জেলসের স্বাস্থ্যকর যৌন সেন্টারের নারী প্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার কাথেয়াকিস বলছেন, ‘হ্যাঁ, এমনটি হয়। কিন্তু এগুলোকে কোনো নারী সাধুবাদ জানান না। অধিকাংশ নারী পুরুষাঙ্গের ছবি দেখতে পছন্দ করেন না। তার চেয়ে বরং চোখে আকৃষ্ট হয়।’

মিশিগানের যৌন বিশেষজ্ঞ জো কর্টও একই কথা বলেন, ‘অধিকাংশ পুরুষ মনে করে নারীরা এসব ছবি দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু কখনোই নয়।’

কুৎসিত আনন্দ লাভ: পুরুষরা এসব পাঠিয়ে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করে। কাথেয়াকিস বলছেন, ‘এটি এক ধরনের বিকৃত মনোভাব। অপ্রিয় হলেও সত্য অধিকাংশ পুরুষ এমন মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করেন।’

পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ব জাহির: ডেট্রয়েট সেক্স থেরাপিস্ট রুসেল স্টামবাউঘ মনে করেন, এসব পাঠিয়ে পুরুষরা এক ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করার চেষ্টা করেন।

 

‘এটি এক ধরনের অপ্রত্যাশিত কর্তৃত্ব চাওয়ার মতো ব্যাপার। পুরুষরা কতটা আক্রমণাত্মক সেটি এতে প্রকাশ পায়।’

ক্ষণিকের ভুল: সব পুরুষ যে ভেবেচিন্তে নিজের নগ্ন ছবি সেন্ড করেন, বিষয়টি এমন নয়। অনেকে ক্ষণিকের উত্তেজনায় এমন আচরণ করে থাকেন।

নিউইয়র্কের থেরাপিস্ট স্টেরন বলছেন, ‘ড্রাগ কিংবা মদ খাওয়ার পর অনেকে এমন আচরণ করেন। পরে অনুশোচনাও হয় তাদের।’