শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

পেটনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৪৭ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার

বাফেলোর গ্রোসারিতে হত্যাযজ্ঞ

আজকাল রিপোর্ট
 বাফেলোর শপিং মলে গুলি করে ১০জন কৃষ্ণাঙ্গকে  হত্যার দায়ে ১৯ বছরের বর্ণবিদ্বেষী শ্বেতাঙ্গ তরুণ পেটন জেনড্রনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গত বুধবার এই রায় ঘোষণার সময় এরঈ কাউন্টি আদালতের বিচারক সুসান ঈগান বলেন, ‘তুমি ইহজীবনে আর কখনও সূর্যের আলো চোখে দেখতে পাবে না’।
গত বছর ২২মে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। শুধু মাত্র কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার বর্ণবিদ্বেষী পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে বিংহ্যাম্পটনের মতো দূর এলাকা থেকে পেটন গাড়ি চালিয়ে বাফেলোর কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকায় এসেছিল। বন্দুক নিয়ে এখানকার টপস সুপারমার্কেটে ঢুকে এলাপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে জখম করে। এদের ১১ জন ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ, ২ জন শ্বেতাঙ্গ। ১০ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ১০ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। পুলিশ জানিয়েছিল, পেটন অনেক অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তার পরনে ছিল ট্যাকটিকাল গিয়ার, ট্যাকটিকাল হেলমেট এবং প্লেটেড আর্মার। তার শরীরে একটি ক্যামেরাও লাগানো ছিল। গুলি বর্ষণের কাজে সে একটি সেমি অটোমেটিক রাইিফেল ব্যবহার করেছিল। পেটন গ্রোসারির দরজা থেকেই গুলি করা শুরু করেছিল।
বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতে এক পর্যায়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একজনের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তার করুণ বর্ণনায় আবেগাপ্লুত হয়ে  নিহত পরিবারের একজন সদস্য আসামীর আসনে বসা পেটনের দিকে ধেয়ে যান। পুলিশ তাকে নিরস্ত করে এবং নিরাপত্তাার স্বার্থে পেটনকে আদালত কক্ষ থেকে দ্রুত বের করে নিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বিচার কাজ শুরু হয় এবং বিচারক সবার প্রতি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
পেটন জেনড্রন তার কৃতকর্মের জন্য আদালতে অনুতাপ প্রকাশ করে এবং নিহতদের পরিবারগুলির প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করে। হাত কড়া  পরা এবং শেকল বাঁধা পেটন আদালতে এক বক্তব্যে বলে, আমি আজ ভাবতেও পারছি না আমি এমন একটি কান্ড কেমন করে করেছিলাম। তবে বক্তব্য দেয়ার সময় তাকে পুরোপুরিই অনুভূতিহীন মনে হয়েছে। তার এ বক্তব্য উপস্থিত কেউ বিশ্বাস করেনি, এবং একে মেকি বলে অভিহিত করেছে। পেটনকে পেরোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ সারা জীবনে সে আর কারাগারের বাইরে আসতে পারবে না।