অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:১২ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার

আজকাল ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে আয়োজিত মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’-এর উদ্বোধন করেছেন। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এ অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-পাওয়া ১৫ কবি, লেখক ও গবেষকের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত ‘শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলি-১’, ‘কারাগারের রোজনামচা পাঠ বিশ্লেষণ’, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ বিশ্লেষণ’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন পাঠ বিশ্লেষণ’। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রচিত ‘আমার জীবন নীতি, আমার রাজনীতি’ এবং ‘জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২’।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন প্রমুখ।
এবার সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত (যৌথভাবে কবিতায়), তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন (যৌথভাবে কথাসাহিত্যে), মাসুদুজ্জামান (প্রবন্ধ/গবেষণায়), আলম খোরশেদ (অনুবাদ), মিলন কান্তি দে এবং ফরিদ আহমদ দুলাল (যৌথভাবে নাটকে), ধ্রুব এষ (কিশোর সাহিত্য), মুহাম্মদ শামসুল হক (মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা), সুভাষ সিংহ রায় (বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা), মোকারম হোসেন (বিজ্ঞান/বিজ্ঞান কথাসাহিত্য/পরিবেশবিজ্ঞান), ইকতিয়ার চৌধুরী (জীবনী/স্মৃতিকার/ভ্রমণকাহিনি) এবং আবদুল খালেক ও মুহাম্মদ আবদুল জলিল (যৌথভাবে লোককাহিনিতে)।
ঊালা একাডেমী জানিয়েছে, বইমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। তবে রাত সাড়ে আটটার পর মেলা প্রাঙ্গণে আর প্রবেশ করা যাবে না। সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরে খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।
এবারের বইমেলায় ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া এ বছর মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৫৩টি স্টল থাকবে, যা ২০২২ সালে ছিল ১২৭টি, ২০২১ সালে ১৪০টি এবং ২০২০ সালে ১৫৫টি।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলার স্থান ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে মেলার ১১ লাখ বর্গফুট এলাকা।
জাতীয় সংগীত এবং অমর একুশের সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সবাই অমর একুশের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী স্মারকে স্বাক্ষর করে বইমেলা উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।