শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠার মূলে সংবাদপত্রের অবদান রয়েছে

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:০৮ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

এডিটর্স কাউন্সিলের সভায় কমিউনিটিকে অভিনন্দন

আজকাল রিপোর্ট
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠা লাভের মূলে বাংলা সংবাদপত্রগুলির বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে এডিটর্স কাউন্সিলের এক সভায় বাংলা সংবাদপত্রের বিকাশে বাংলাদেশি কমিউনিটির সার্বিক সহযোগিতার জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানান হয়েছে।  
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সবচেয়ে পুরনো ৯টি বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটর্স কাউন্সিলের এই সভা  গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঠিকানার সম্পাদকম-লীর সভাপতি এম এম শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্পাদকবৃন্দ নিজ নিজ সংবাদপত্রে বিরাজিত সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। আমেরিকার বর্তমান মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বিজ্ঞাপনদাতারা যে সংবাদপত্রের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন,  সেজন্য সম্পাদকদবৃন্দ তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে সংবাদপত্রের ওপর আস্থা ধরে রাখায় পাঠকদের প্রতিও ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় সম্প্রতি ‘ঠিকানা’ সম্পর্কে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর নিউইয়র্ক সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক লাবলু আনসারের বিরূপ মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।  এডিটর্স কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সম্পাদকবৃন্দ লাবলু আনসারের এমন অনভিপ্রেত বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং এর নিন্দা জানান।
 

বাংলাদেশি কমিউনিটির নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আজ মূলধারায় যেভাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে নানা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও প্রবাসীদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলছে সম্পাদকবৃন্দ তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে এর মূলেও স্থানীয় সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলা ভাষার সংবাদপত্রগুলি নতুন প্রজন্মের সন্তানদের পিতামাতাকে শিক্ষাক্ষেত্রে সার্বিকভাবে উদ্বুদ্ধ করে আসছে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
আলোচনায় সম্পাদকবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, কমিউনিটিতে যখন কোন সংগঠন নতুন ইমিগ্রান্টদের গাইড করার তেমন কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি, তখন সংবাদপত্রগুলোই সেই দায়িত্ব পালন করেছে এবং এখনও তা করে চলেছে।  সম্পাদকবৃন্দ ভবিষ্যতেও সমাজসেবার এই ধারাকে অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তারা বাংলা সংবাদপত্রগুলির বিকাশে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশি কমিউনিটিকে অভিনন্দন জানান।
সভায় বিজ্ঞাপনের বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশিদের অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  উদ্বোধন হচ্ছে নিউইয়র্কে। তাদের প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সংবাদপত্রগুলো আরো কী ভূমিকা রাখতে পারে তা খতিয়ে দেখার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।  তারা বলেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্রের সহযোগিতা পেয়েছে, তারা আজ নিউইয়র্কের মতো বহুজাতিক সিটিতে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তারা স্বনামধন্য ব্যবসায়ী খলিল বিরিয়ানির সিইও শেফ খলিলুর রহমানের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং তার প্রতি সংবাদপত্রগুলির সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করেন।  
আলোচনায় সম্পাদকবৃন্দ বলেন, নিউইয়র্কে আমেরিকার সর্বাধিক সংখ্যক বাংলাদেশি বাস করা সত্ত্বেও কেবল সংবাদপত্রগুলোর অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের কারণে সেই অর্থে বড় বড় দুর্নীতি বা প্রতারণার ঘটনা নেই বললেই চলে। যারা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক থেকে বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশনার মাধ্যমে এই কমিউনিটি গড়ে তুলতে অবদান রেখে চলেছেন, তাদের সেই অবদানের ইতিহাস রচনার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এডিটর্স কাউন্সিলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকম-লীর সভাপতি এম এম শাহীন, সাপ্তাহিক বাঙালীর সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. এম ওয়াজেদ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকো ও সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ।