যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক ধস থেকে বাংরাদেশের শিক্ষা নেয়া উচিত
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩
বিশেষজ্ঞদের অভিমত
আজকাল ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুটি বড় ব্যাংক ধসের ঘটনা বাংলোদেশের জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আস্থাহীনতার কারণেই সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের পতন ঘটেছে বলে তারা মনে করেন। এ ঘটনা থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেছেন, দেশেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি গ্রাহকের আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। তাই কালক্ষেপণ না করে এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়েছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধের বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যম মানের ব্যাংকগুলো সংকটের মুখে পড়েছে। আর এ কারণেই ব্যাংক দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া এসভিবি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, সিগনেচার ব্যাংক অনেকটা তার জেরেই বন্ধ হয়েছে। দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, এই দুটি ব্যাংক বন্ধ করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ত। গত সপ্তাহে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ তুলে নেওয়ার হিড়িক শুরু হলে সিগনেচার
ব্যাংকের গ্রাহকরাও জানতে চান, তাদের আমানত সুরক্ষিত কি না। অনেকের মনেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এ কারণে যে, তাদের আমানতের পরিমাণ আড়াই লাখ ডলারের বেশি। দেশটির ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন বা এফডিআইসি আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত আমানতের সুরক্ষা দেয়, তার বেশি নয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে, আমানতের পরিমাণ যাই হোক না কেন, তাদের ক্ষতি হবে না; কিন্তু গুজব একবার ছড়িয়ে পড়লে দাবানলের মতো হয়ে যায়, যার বলি হলো সিগনেচার ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত আস্থাহীনতার কারণেই আমেরিকার ব্যাংক দুটি ধসে পড়েছে। তাই আমাদের দেশের ব্যাংক খাতের জন্য বড় শিক্ষণীয় দিক হচ্ছে, গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখা। কেননা, আমাদের দেশেও বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের আস্থাহীনতার নজির তৈরি হয়েছে, যা কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশে ব্যাংক ধসের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নেই। তবে এজন্য গ্রাহকের আস্থা অর্জনে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। এজন্য ব্যাংকগুলোকে সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। সর্বোপরি এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
একই বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুই দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। তবে আমাদের ব্যাংকগুলোকে যদি তাদের মানদ- অনুযায়ী বিচার করা হয়, তাহলে অনেক ব্যাংকই ধসে যাওয়ার কথা; কিন্তু আমরা তো সেই মানদ- অনুযায়ী বিচার করি না। তিনি বলেন, এখানে সরাসরি কোনো প্রভাব আমাদের দেশের ব্যাংকের ওপর পড়বে না। আমাদের ব্যাংকিং খাতে এখন যেসব সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা সেসব দেশে ১০০ বছর আগে ছিল। অর্থাৎ, টাকা নিয়ে টাকা না দেওয়া, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আর তাদের সমস্যা হচ্ছে, সামষ্টিক অর্থনীতির সমস্যা। মূল্যস্ফীতি বাড়ায়, বন্ড মার্কেট ফল করায়, ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অন্য সমস্যা সৃষ্টি করলেও আমাদের ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ভিন্ন। আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা খেলাপি ঋণ, ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের টাকা লুটপাট করা, ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে পারছে না ব্যাংকগুলো। আমাদের রিটার্ন ও মুনাফা কমে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ওই দেশে সবার আগে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। আর ব্যাংকের যারা শেয়ারহোল্ডার তাদের শেয়ার কিন্তু শূন্য হয়ে গেছে। আমাদের দেশে হয় ঠিক তার উল্টো। এখানে সবার আগে মালিকের স্বার্থ রক্ষা করা হয়।
একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আমেরিকায় ব্যাংক ধসের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। কারণ, সেসব ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের লেনদেন নেই। প্রতিটি দেশের ব্যাংক পরিচালনার জন্য আলাদা আলাদা নীতি রয়েছে। সরকারি নীতি একরকম আর বেসরকারি নীতি একরকম। সেই নীতি অনুযায়ী চলে প্রতিটি দেশ। কে কীভাবে ব্যাংক ম্যানেজ করে তার ওপর নির্ভর করে ব্যাংকে কী ধরনের প্রভাব পড়বে। সুতরাং আমেরিকায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার রেপ্লিকা বা পুনরাবৃত্তি আমাদের দেশে ঘটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ আমাদের মতো। আমাদের দেশের আইনি কাঠামো, ব্যাংক পরিচালনায় রীতিনীতি সবই চলে আমাদের নিজস্ব নীতিতে। আমাদের দেশের ফরেন অ্যাসেটে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে আমাদের দেশের ওপর সরাসরি কোনো প্রভাব নেই।
জানা যায়, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত শক্তিশালী করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গ্রাহকের আমানত সুরক্ষায় আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত আমানতের বীমা দেওয়া তার মধ্যে অন্যতম। এই লক্ষ্যে দেশটির ফেডারেল ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন বা এফডিআইসি গঠন করা হয়েছে। এবারের সংকটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সংকটগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে বেইল আউট করা বা নানাভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়নি (২০০৮ সালে যা করা হয়েছিল), বরং সংকট গুরুতর হওয়ার আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকÍউভয়ক্ষেত্রেই একই ঘটনা দেখা গেছে। এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হলো। সরকার তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেনি।
দেখা গেল, মালিকপক্ষকে বাঁচানোর চেয়ে গ্রাহকের কীভাবে সুবিধা হবে, তা নিশ্চিত করতেই মার্কিন সরকার ব্যস্ত। সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ ও ফেডারেল রিজার্ভের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থনীতি সুরক্ষিত এবং মানুষের আস্থা ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি, সরকার বিভিন্ন কারণে ব্যাংকটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই এফডিআইসি সিগনেচার ব্যাংকের সব হিসাব আরেকটি ব্যাংক ‘ফিফথ থার্ড ব্যাংক’ করপোরেশনে স্থানান্তর করেছে। গ্রাহকদেরও সমস্যা নেই। সোমবার থেকেই গ্রাহকরা হিসাব ব্যবহার করে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন।

- ট্রেন-বাস ভাড়া টোল বাড়ছে
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই সিদ্ধান্ত জানতেন শেখ হাসিনা
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- সরকার বিরোধীদল সবাই বলছে খোশ আমদেদ
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- বিশিষ্টজনদের লেখা রাজনৈতিক ধারাভাষ্য
বিএনপি’রও আছে জুজুর ভয় - মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগাম নিষেধাজ্ঞা
- হাওরে সড়ক বানিয়ে উপকারের চেয়ে অপকারই হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- চুরি হচ্ছে ই-পাসপোর্টের তথ্য
- দেশে ধনীদের আয় বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, শোচনীয় অবস্থা মধ্যবিত্তদের
- ৩১ আগস্টের মধ্যে নর্থ বেঙ্গলের নির্বাচন
- কর্নাটকে কংগ্রেস জয়ী
মোদীর বিজেপি কতটা দুশ্চিন্তায়? - পাকিস্তানে অস্থিরতা
গ্রেফতার আতঙ্কে ইমরান খান - শহিদ-সাব্বিরদের নাচগানের আসরে মানায়, মসজিদে নয়
- কানেকটিকাট কনভেনশন সফল করার আহ্বান
- জালালাবাদ এসোসিয়েশনের অর্থ কেলেংকারি
- আজাদ বললেন
‘আমি একজন ভালো মানুষ’ - মেয়র এডামসের হাতে ‘আজকাল’
- সিটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি ভোটার
- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্র্যান্টদের আশ্রয়স্থল
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- নিউইয়র্কে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা
- পাঁচ ব্যবসায়ীর বাংলাদেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- ফোর্বসের জরিপ
এশিয়ার সেরা ৭ বাংলাদেশি - জালিয়াতি-প্রতারণাসহ ১৩ অভিযোগ স্যানটোসের মামলা এথিকস কমিটিতে
- শেখ হাসিনাকে চায় না যুক্তরাষ্ট্র!
- আলোচনায় রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার ও স্যাংশন
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- গ্যাস সংকটে সিরামিক শিল্প, উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাতভর ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ
- অনিশ্চয়তার মুখে ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
- ফ্লাইট কমাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- অফিসে ৫০ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না মানিচেঞ্জাররা
- ডলারের চাপ কমাতে বাকিতে তেল কিনতে চায় সরকার
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- রাজনীতিতে ফিরতে চান সাবেক গভর্ণর কুমো
- বায়ু দূষণ রোধে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান শুরু
- লামায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
- ওয়াসার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচ
- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার সুযোগ
- নিউইয়র্কের ১৫ লাখ মানুষ মেডিকেইড হারাতে পারে
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত
- অপপ্রচারে আতঙ্কে প্রবাসীরা
- রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার

- টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ খাশোগি
- যে কোনো সময় মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, যা ঘটতে চলেছে…
- তরুণীর গোপনাঙ্গ কর্তন, ভারতে বাংলাদেশি নারীর কারাদণ্ড
- সিরিয়ায় তুর্কি সেনা অভিযানে পথ ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
- নেশার অপর নাম ফোর্টনাইট গেম!
- কে কত বিলিয়নের মালিক?
- আফিমের নেশায় টিয়াপাখি : অতিষ্ঠ চাষিরা
- সাত বছরের শিশুর আয় ১৭৬ কোটি টাকা
- মুম্বাইয়ের খোলা ম্যানহোলে জীবন যাচ্ছিল সিঙ্গাপুরের ধনকুবেরের!
- মাত্র ৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাগান বাড়ি!
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে : রাশিয়া
- ১৮ হাজার ফুট উচুতে জীবন বাজি রেখে পতাকা উত্তোলন
- কোন গোলাপের কী মানে?
- সৌদি যুবরাজকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন
- স্ত্রীকে ৫৫ হাজার ড্রেস উপহার