রোহিঙ্গা ইস্যুতে শক্ত পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হোটেল লোটে প্যালেসে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ বিষয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এতদিনেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেখেই গত মাসে আমরা দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের বাস্তব পদক্ষেপ এবং প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু নির্বাচিত ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। সংকট সমাধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ মনে করে- রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে আন্তর্জাতিক ন্যায়-বিচার ও জবাবদিহিতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শক্তিশালী ভূমিকা নেবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ন্যায়-বিচার থেকে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং আসিয়ানের বর্তমান ফোকাস মিয়ানমারে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা- মিয়ানমারের জনগণের জন্য শান্তি ও ন্যায়-বিচার আনতে এবং নিজেদের জন্মভূমিতে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এই সংস্থাগুলোর শক্তিশালী ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানের শক্ত ভূমিকা প্রত্যাশা করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে আসিয়ান প্রধান ভূমিকা নিতে পারে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে রাখাইন রাজ্যের ওপর কফি আনান উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত। বেসামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অর্থবহ উপস্থিতি স্বেচ্ছায় নিজের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের জন্য রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ৫টি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এগুলো হলো-
১. রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করা;
২. আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ ও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়াকে সমর্থন করা; আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং জাতীয় আদালতের সামনে কার্যক্রমে সহায়তা করা।
৩. জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা;
৪. আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমতের অধীনে মিয়ানমারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে বলা, দৃঢ়ভাবে বলা।
৫. বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার যেন সম্মত হয় সেই প্রচেষ্টা চালানো।
ঐতিহাসিকভাবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অষ্টম শতাব্দী থেকে রোহিঙ্গারা আরাকানে বসবাস করছে, যা এখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার যখন স্বাধীন হয়, নতুন সরকার কোন কোন জাতিসত্তা নাগরিকত্ব পেতে পারে তা সংজ্ঞায়িত করে নাগরিকত্ব আইন পাস করে। এতে রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জাতির বহিরাগত হিসেবে টার্গেট করা হয়েছে। তারপরে ১৯৮২ সালে নতুন একটি নাগরিকত্ব আইন পাস করা হয়েছিল যেটি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে থাকা ১৩৫ জাতিগোষ্ঠীর একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে, যখন ইউনু রাষ্ট্রপতি হন, তিনি তার মন্ত্রিসভায় দুইজন মুসলিম রোহিঙ্গাকে অন্তর্ভুক্ত করেন- বাণিজ্য ও উন্নয়নমন্ত্রী হিসাবে ইউ রশিদ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সুলতান মাহমুদকে। তার পার্লামেন্টে আব্দুল বাশার, জোহোরা বেগম, আবুল খায়ের, আবদুস সোবহান, রশিদ আহমেদ, নাসিরুদ্দিন এবং দুইজন সংসদীয় সচিব, সুলতান আহমেদ এবং আব্দুল গাফফার নামে ছয়জন মুসলিম রোহিঙ্গা ছিলেন। এটি প্রমাণ করে মুসলিম রোহিঙ্গরা এখনো মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন নাগরিক হিসেবে মুসলিম রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মন্ত্রিসভা এবং সংসদে থাকতে পারে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান সে কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং সেখানেই এর সমাধান। রোহিঙ্গাদের পদ্ধতিগতভাবে বাদ দেওয়া এবং নির্বিচার নিপীড়নের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার ১৯৬০ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। আজকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ১ দশমিক ২ মিলিয়ন (১২ লাখ) এবং ক্যাম্পে প্রতিদিন নতুন নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে।
শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে। ২০১৭ সালে গণহারে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে দুই দেশ তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে দুটি প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছিল। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় বাছাই করা সেসব রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি ছিল না। তাদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা, সহিংসতার পুনরাবৃত্তি না হওয়া, জীবিকার সুযোগ এবং নাগরিকত্বের পথসহ মৌলিক অধিকারের ইস্যুগুলো তাদের উদ্বেগের কারণ ছিল।
তিনি বলেন, অব্যাহতভাবে মিয়ানমার তার অঙ্গীকার অমান্য করায়, ত্রি-পক্ষীয় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীনের সহায়তায় প্রত্যাবর্তন আলোচনা শুরু করার জন্য বাংলাদেশ বিকল্পের আশ্রয় নেয়। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

- সংবর্ধনায় অনুপস্থিত এডামস
হোকুলের প্রশংসায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন - করোনা সংক্রমণ
সোমবার থেকে ফ্রি কোভিড টেস্ট কিট - ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক
বরফ গলাতে তৎপর বাংলাদেশ - আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে আসছে যুক্তরাষ্ট্র মিশন
- ট্রাম্প-বাইডেন দু’জনই বুড়ো, কাউকে পছন্দ না ভোটারদের
- জবিতে র্যাগিং বিড়ম্বনায় পাঠদান স্থগিত
- আমদানির খবরে ১২ টাকায় মিলছে প্রতি পিস ডিম
- তানজিম সাকিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুলল বিসিবি
- ডেঙ্গুতে আরও ১৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩০৮৪
- হাঙ্গেরির সঙ্গে তিন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
- যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের বন্দী বিনিময়
- জো বাইডেনের নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা
- আসছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
- পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ পেতে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র
- ব্যয় মেটাতে সঞ্চয়ে টান
- তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে আসছেন শমসের-তৈমূর
- মধ্যরাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক, খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর
- আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন
- ইউক্রেনের আন্দ্রিভকার পুনরুদ্ধারে নিয়ে এবার মুখ খুলল রাশিয়া
- রাশিয়া দখলকৃত দোনেস্কে ইউক্রেনের হামলায় নিহত ৫
- অন্যের দোষ ঢাকতে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলা হয়েছে : জায়েদ খান
- ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৪
- মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের লেখক গীতা মেহতা মারা গেছেন
- ভিসা ফি বাড়ানোর ঘোষণা যুক্তরাজ্যের
- খালিস্তান বিতর্কে ভারত-কানাডা বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত
- আফগানিস্তানে মার্কিন নারীসহ ১৮ এনজিও কর্মী আটক
- নিউ ইয়র্কের পথে প্রধানমন্ত্রী
- ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বিসিবি
- বেঁধে দেওয়া দাম মানছে না কেউ
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- অবৈধদের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাবে না
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪
ট্রাম্পের মুখোমুখি পেন্স - মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - নিউইয়র্ক সিটিতে ফিরে আসছে আশ্রয়প্রার্থীরা
- বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে যা বললেন শ্রীলেখা
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
- যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই সিদ্ধান্ত জানতেন শেখ হাসিনা
- শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন, কথা বলেছেন ১০ মিনিট
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- ‘বাবা-ছেলে দুজনেরই শয্যাসঙ্গী’, জবাব দিলেন নায়িকা
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- ইংরেজিতে দুর্বলদের জন্য দুঃসংবাদ
নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পরিবর্তন আসছে

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারে সফরসঙ্গী রিয়াজ-ফেরদৌস
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু