রমজানে সংঘটিত ঐতিহাসিক ৬ ঘটনা
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩

রমজান শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন হওয়ার মাস নয়, বরং রমজান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ারও মাস। পবিত্র এই মাসে মুসলিম জাতি বহু আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করে স্বদেশ রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ মাসে আল্লাহর সাহায্যে তারা ঐতিহাসিক বহু বিজয় লাভ করেছে। ইসলামের ইতিহাসের প্রথম উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ বদর রমজানেই সংঘটিত হয়েছিল। রমজানেই মুসলিমরা পৌত্তলিকদের কবজা থেকে পবিত্র ভূমি মক্কাকে উদ্ধার করেছিল। রমজানে সংঘটিত এমন কয়েকটি ঐতিহাসিক যুদ্ধের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. বদর যুদ্ধ : দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এটা ছিল মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। মহানবী (সা.) আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বাধীন একটি বাণিজ্য কাফেলাকে আটক করতে চেয়েছিলেন। তিনি তা করতে চেয়েছিলেন হিজরতের পর মক্কার কুরাইশদের নানামুখী ষড়যন্ত্র, মদিনা থেকে মুসলমানদের বের করে দেওয়ার অন্যায় চাপ, মদিনার উপকণ্ঠে এসে লুটতরাজ ইত্যাদি কারণে। কিন্তু আবু সুফিয়ানের কাফেলা রাস্তা পরিবর্তন করে নিরাপদে মক্কায় পৌঁছে যায়। মক্কার মুশরিকরা এটাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে মদিনায় সামরিক অভিযান চালায়। সহস্রাধিক সেনার কুরাইশি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩১৩ সদস্যের মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে। কুরাইশের বহু শীর্ষ নেতা নিহত হয়। বদর যুদ্ধের বিজয় মদিনায় সার্বভৌম ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে।
২. মক্কা বিজয় : অষ্টম হিজরির রমজান মাসে মুসলিম বাহিনী মক্কা জয় করে। এই বিজয়কে পবিত্র কোরআনে ‘সুস্পষ্ট বিজয়’ বলা হয়েছে। নানা কারণেই মক্কা বিজয় ছিল মুসলমানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে মক্কা থেকে অন্যায়ভাবে বিতাড়িত মুসলমানরা মাতৃভূতিতে ফেরার সুযোগ পায়, মুসলমানের কিবলা পবিত্র মক্কা পৌত্তলিকতামুক্ত হয়, মুসলমান কাবাঘর দর্শনের অধিকার পায়, সমগ্র আরবে মুসলমানের রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। মক্কার কুরাইশরা হুদাইবিয়া সন্ধির একাধিক ধারা লঙ্ঘন করলে মহানবী (সা.) মক্কা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। মুসলিম বাহিনী প্রায় বিনা প্রতিরোধে ও বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করে। মুসলিম বাহিনীতে সদস্য ছিল ১০ হাজার। মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (সা.) সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।
৩. তাবুক যুদ্ধ : মক্কা বিজয় ও হুনাইনে মুসলমানদের বড় বিজয় আবরের ইসলামবিরোধী শক্তিকে হতাশ করেছিল। যখন তারা বুঝল তাদের পক্ষে মুসলমানদের প্রতিহত করা সম্ভব নয়, তখন তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ চাচ্ছিল। তাদের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছিল আউস গোত্রের নেতা ও খ্রিস্টান ধর্মীয় গুরু আবু আমের। সে সিরিয়া চলে যায় এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থান করে রোম সম্রাটকে মদিনায় আক্রমণ করতে প্ররোচিত করে। তাঁর নির্দেশনায় মুনাফিকরা কোবা মসজিদের অদূরে ‘মসজিদে জিরার’ নির্মাণ করে। নবম হিজরিতে মহানবী (সা.) সংবাদ পান, মদিনায় আক্রমণের উদ্দেশ্যে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস ৪০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করেছে এবং তাদের অগ্রবর্তী দল সিরিয়ার বালকা এলাকায় পৌঁছে গেছে। নবম হিজরির রজব মাসে মহানবী (সা.) তাদের প্রতিহত করতে অভিযান শুরু করেন। তাবুকে তিনি ২০ দিন অপেক্ষা করে রমজানের শেষাংশে মদিনায় ফিরে আসেন। ৩০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে নবী (সা.) তাবুক অভিমুখে বের হন। এটা ছিল তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় সেনা অভিযান। আরব উপদ্বীপে মুসলমানের প্রভাব ও প্রতিপত্তির চূড়ান্ত ধাপ ছিল তাবুক যুদ্ধ। তাবুক যুদ্ধের পর আরবের পৌত্তলিকসহ মুসলমানের অন্যান্য শত্রুরা সাহস হারিয়ে ফেলে এবং আরবরা সব দ্বিধা ত্যাগ করে দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকে।
৪. বুওয়াইবের যুদ্ধ : আবু বকর (রা.) মুসলিম সেনাপতি মুসান্না বিন হারিসা (রা.)-কে ইরাক সীমান্তে নিযুক্ত করে রেখেছিলেন। তাঁর খেলাফতের শুরুতে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল তা স্তিমিত হয়ে এলে তিনি ইরাক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে তিনি মুসান্না বিন হারিসা (রা.)-এর বাহিনীতে সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির সংবাদ পেয়ে পারস্য সম্রাট সেনাপতি মেহরানের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী ইরাক সীমান্তে প্রেরণ করেন। উভয় বাহিনী বর্তমান কুফার নিকটবর্তী বুওয়াইব নামক স্থানে মুখোমুখি হয়। ১৩ হিজরির রমজানে উভয় বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর মুসলিম বাহিনী পারস্য বাহিনীকে পরাজিত করে। বুওয়াইবের বিজয় মুসলিম ভূখণ্ডকে পারস্য বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল এবং মুসলমানদের ইরাক ও পারস্য বিজয়ের পথ উন্মুক্ত করেছিল।
৫. আমুরিয়ার যুদ্ধ : রোমান সম্রাট টিউপিল যখন দেখলেন মুসলিম বাহিনী আজারবাইজান বিজয়ে ব্যস্ত, তখন তিনি মুসলিম ভূখণ্ডে অভিযানের ইচ্ছা করলেন। এক লাখ সেনার বিশাল বাহিনী নিয়ে ঝাবতারা দুর্গে (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত) আক্রমণ করে, যা তৎকালীন আব্বাসীয় খেলাফতের অধীন ছিল। দুর্গ দখলের পর টিউপিল বাহিনী নারী, শিশু, বৃদ্ধা নির্বিশেষে গণহত্যা চালায় এবং নারীদের বন্দি ও সম্ভ্রমহানি করে। সংবাদ পেয়ে খলিফা মুতাসিম খুবই ক্রোধান্বিত হন। রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেন। সংবাদ পেয়ে রোমান বাহিনী আমুরিয়া দুর্গে আশ্রয় নেয়। প্রতিরক্ষার ব্যবস্থায় দুর্গটি ছিল অদ্বিতীয়। মুসলিম বাহিনী দুর্গ অবরোধ করে এবং মিনজানিকের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে। অবশেষ রোমান বাহিনী সন্ধির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু খলিফা মুতাসিম তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এই বিজয়ের ফলে রোমানদের মনোবল একেবারেই ভেঙে যায়। এই অঞ্চলের বহু মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে।
৬. আইনে জালুতের যুদ্ধ : মুসলিম মামলুক সাম্রাজ্য ও মঙ্গোলীয়দের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল আইনে জালুতের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করার মাধ্যমেই মুসলিম বাহিনী হালাকু খানের ধ্বংসযাত্রা থামিয়ে দেয়। এই বিজয় ছিল মুসলিম বাহিনীর জন্য বড় স্বস্তির সংবাদ। সুলতান সাইফুদ্দিন কুতুজ মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
আলজাজিরা ও সাইদ ডটঅর্গ অবলম্বনে

- ট্রেন-বাস ভাড়া টোল বাড়ছে
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই সিদ্ধান্ত জানতেন শেখ হাসিনা
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- সরকার বিরোধীদল সবাই বলছে খোশ আমদেদ
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- বিশিষ্টজনদের লেখা রাজনৈতিক ধারাভাষ্য
বিএনপি’রও আছে জুজুর ভয় - মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগাম নিষেধাজ্ঞা
- হাওরে সড়ক বানিয়ে উপকারের চেয়ে অপকারই হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- চুরি হচ্ছে ই-পাসপোর্টের তথ্য
- দেশে ধনীদের আয় বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, শোচনীয় অবস্থা মধ্যবিত্তদের
- ৩১ আগস্টের মধ্যে নর্থ বেঙ্গলের নির্বাচন
- কর্নাটকে কংগ্রেস জয়ী
মোদীর বিজেপি কতটা দুশ্চিন্তায়? - পাকিস্তানে অস্থিরতা
গ্রেফতার আতঙ্কে ইমরান খান - শহিদ-সাব্বিরদের নাচগানের আসরে মানায়, মসজিদে নয়
- কানেকটিকাট কনভেনশন সফল করার আহ্বান
- জালালাবাদ এসোসিয়েশনের অর্থ কেলেংকারি
- আজাদ বললেন
‘আমি একজন ভালো মানুষ’ - মেয়র এডামসের হাতে ‘আজকাল’
- সিটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি ভোটার
- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্র্যান্টদের আশ্রয়স্থল
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- নিউইয়র্কে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা
- পাঁচ ব্যবসায়ীর বাংলাদেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- ফোর্বসের জরিপ
এশিয়ার সেরা ৭ বাংলাদেশি - জালিয়াতি-প্রতারণাসহ ১৩ অভিযোগ স্যানটোসের মামলা এথিকস কমিটিতে
- শেখ হাসিনাকে চায় না যুক্তরাষ্ট্র!
- আলোচনায় রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার ও স্যাংশন
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- গ্যাস সংকটে সিরামিক শিল্প, উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাতভর ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ
- অনিশ্চয়তার মুখে ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
- ফ্লাইট কমাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- অফিসে ৫০ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না মানিচেঞ্জাররা
- ডলারের চাপ কমাতে বাকিতে তেল কিনতে চায় সরকার
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- রাজনীতিতে ফিরতে চান সাবেক গভর্ণর কুমো
- বায়ু দূষণ রোধে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান শুরু
- লামায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
- ওয়াসার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচ
- মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার সুযোগ
- নিউইয়র্কের ১৫ লাখ মানুষ মেডিকেইড হারাতে পারে
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত
- অপপ্রচারে আতঙ্কে প্রবাসীরা
- রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার

- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- পথ চলার আদব!
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা
- যে মসজিদ থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার শুরু
- যে পোশাকে নারীদের নামাজ নিষিদ্ধ
- জানাযার দোয়া না জানলে কী পড়বেন?
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- দারুল উলুম দেওবন্দে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?