খান’স টিউটোরিয়ালের তদন্ত কমিটি গঠিত : তাসনিম ইমাম নতুন নির্বাহী
যৌন হয়রানির অভিযোগে ইভানের পদত্যাগ

আজকাল রিপোর্ট
ইমেজ সংকটের মুখোমুখি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান খান’স টিউটিরিয়াল। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাশ সহযোগিতায় অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এটি। যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সুনামে চিড় ধরেছে। অভিযোগ উঠেছে এর সিইও ডাক্তার ইভান খানকে নিয়েই। ইভান পেশায় চিকিৎসক হলেও বাবা-মা’র হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেছিলেন। সোশাল মিডিয়ায় খবর রটে যাওয়ার পরপরই ইভান খান নিজেই সিইও পদ থেকে সরে এসেছেন।
ডা. ইভান খানের বিরুদ্ধে সামাজিক গণমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে গত ২৬ জুন ‘টেলিং মাই ট্রুথ’ নামের একটি একাউন্ট থেকে বেনামে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। খান’স টিউটোরিয়াল-এর সাবেক এক টিউটর ডা. খানের বিরুদ্ধে এ পোস্ট দেন। সোশাল মিডিয়ায় ইভান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সর্মথন বা লাইক করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। অভিযোগের পরপরই ডা. খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রয়াত ড. মনসুর খান ও নাঈমা খানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান খান’স টিউটোরিয়াল। ২৬ বছর ধরে কমিউনিটির সেবা ও ব্যবসায় নিয়োজিত। প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসী সন্তানদের নিয়মিত কোচিং দান ছাড়াও হাইস্কুল ও কলেজ ভর্তিতে সহায়তা দিচ্ছে খান’স টিউটোরিয়াল। এখন তাদের রয়েছে ১০টি শাখা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কয়েক হাজার স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীসহ অনেকেই এখান থেকে কোচিং নিয়ে শিক্ষা জীবনের বাঁক ঘুরিয়েছেন। পৌঁছে গেছেন জীবনের সাফল্যের শীর্ষ ঠিকানায়। এমনি একটি প্রতিষ্ঠান আজ ইমেজ সংকটের মুখোমুখি।
সাপ্তাহিক আজকালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. ইভান খান বলেন, খান’স টিউটিরিয়ালের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এটা করা হয়েছে। আমি কোনদিন ইন্সট্রাকটর লেভেলের কাউকে গাড়িতে নেই না। বাইরে খাবারও দাওয়াত দেই না। আমার অফিসের দরজাটাও সবসময় খোলা রাখি। এক সপ্তাহ আগে দুজন কর্মচারিকে ছাটাই করা হয়েছে। তাদের একজন খান’স টিউটিরিয়ালের বাইরে বন্ধু মহলে অনৈতিক কাজ করেছিল। যা কিনা খানের পলিসির পরিপন্থী। অন্যজন কভিড-১৯ এর আগ থেকেই কাজ করছিল না। ছাটাই এর পরপরই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে আমার কাছে জানতে চায় কেন আমি তাদের ছাটাই করেছি। আমি ওদের ইগনর করি। এর পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে থাকে।
আপনি কিংবা খান’স আইনের আশ্রয় নিচ্ছে না কেন? জবাবে ইভান বলেন, যে সব অভিযোগ এসেছে তা আমার ও খান’স এর বিরুদ্ধে। আমি মনে করি, এসব মিথ্যা। তারপরও একটা নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। আমি সিইও থাকলে অনেকে মনে করতে পারেন যে তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। তাই আমি স্বেচ্ছায় সরে এলাম। লিভ অব এবসেন্স এ যাচ্ছি। ‘বুচানান ইনগারসল এন্ড রুনী পিসি’ নামক আমেরিকান একটি আইনী প্রতিষ্ঠান এই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে।
এদিকে ডা. ইভান খানের স্ত্রী তাসনিম ইমাম খানকে ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন দেখা যাবে। ভবিষ্যতে যাতে নিরীহ কারও বিরুদ্ধে কেউ সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সম্মানহানী না ঘটাতে পারে সেজন্য আইনের পথে যেতে পারি। আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে বেনামিরা লিখছে। খান’স ক্ষতি হতে পারে এমন কোন কাজ আমি করতে পারি না।আমার স্ত্রী আছে। সংসার আছে। আমরা খুবই সুখী।
ব্যবসায়িক কোন প্রতিপক্ষ আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে কি মনে করেন? জবাবে খান বলেন, তা আমি মনে করি না।
- প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের
বাফেলোর দিকে ছুটছেন বাংলাদেশিরা - বাংলাদেশিদের মধ্যে বিনা ভাড়ায় থাকার প্রবণতা বাড়ছে
নিউইয়র্কে বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়া বিরোধ - জ্যাকসন হাইটসে লাক্সারি এফোর্ডেবল হাউজিং
- নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেলের ঈদ শুভেচ্ছা বার্তা
- খান’স টিউটোরিয়ালের তদন্ত কমিটি গঠিত : তাসনিম ইমাম নতুন নির্বাহী
যৌন হয়রানির অভিযোগে ইভানের পদত্যাগ - নিউইয়র্কে পুত্র-শোকে হৃদরোগে মারা গেলেন পিতা
- প্রধানমন্ত্রীর ডিপিএস খোকনের পিতার মৃত্যুতে শোক
- লং আইল্যান্ডে আদমশুমারী কর্মশালা
- সোসাইটি ও ইকে টেকনোলজির মাস্ক বিতরণ
- কুরআনের অলৌকিকতা
ভেন্টিলেশন থেকে ফিরেই নাস্তিক থেকে মুসলিম হলেন