শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২৭ ১৪৩১   ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সর্বশেষ:
দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
২২১৫

বাংলাদেশে বাজেট পেশ

যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৩  



 
আজকাল ডেস্ক
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে সকালে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে মোট ব্যয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা এবং অনুদান ছাড়া ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছেÑ ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।’
নতুন বাজেটে আপনার স্কুলগামী সন্তানের জন্য বলপয়েন্ট কলম কিনতে খরচ বাড়বে। এর উৎপাদন পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছেন। শুধু তাই নয়, বসতঘর থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত ব্যবহার্য অধিকাংশ পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে। বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ’র শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী এবার কঠোর হয়েছেন নিম্ন থেকে উচ্চ-সর্বস্তরের মানুষের ওপর। অর্থ সংগ্রহের দিকে দিয়েছেন বেশি নজর। যে কারণে পদে পদে ফেলছেন ভ্যাট ও করের জাল। এতে মানুষের দুর্দশা ও দুর্ভোগ বাড়বে, প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামে গরম হয়ে উঠবে বাজার। তবে বেশ ঠান্ডা হবে আইএমএফ।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রাজস্ব আহরণে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি রাজস্ব আহরণে সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।’ রিটার্ন দাখিল সহজীকরণ ও করনেট সম্প্রসারণ, কর অব্যাহতি যৌক্তিকীকরণ, স্বয়ংক্রিয় ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় সহায়ক ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন ও সম্প্রসারণ, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে।
বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়: সরকার আয় বাড়াতে নজর দিয়েছে ভ্যাট, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক ও সুনির্দিষ্ট শুল্কের ওপর। ক্ষেত্র বিশেষ নতুন ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ে সর্বনিম্ন ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি মোবাইল ফোন, আমদানিকৃত এলপি গ্যাস, চশমার ফ্রেম ও বাইসাইকেলের দাম বাড়বে। এছাড়া গৃহস্থালিসামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালিসামগ্রী উৎপাদনে ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই হারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালিসামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়ি-পাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং উচ্চ সিসির গাড়িতে খরচ বাড়বে। এছাড়া নির্মাণ ব্যয় বাড়বে। বিশেষ করে সিমেন্ট, শিরিষ কাগজ, আঠা বা গ্লুসহ খাদ্যসামগ্রী মাছের টুকরা, চিজ ও দই, চা-কফিমেট, গ্যাস লাইটারের দাম বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিরিয়ানি-তেহারির প্রধান উপকরণ বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হচ্ছে। এতে চালের দাম বাড়বে। সুস্বাস্থ্যের জন্য বাদাম-খেজুর খান অনেকে। বাজেটে তাজা ও শুকনা খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। দেশে বাদাম চাষকে উৎসাহিত করতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হচ্ছে। সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
মোবাইল ফোনকে বিলাসী পণ্য বিবেচনায় নিয়ে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি আছে, সেখানে ২ শতাংশ, সংযোজন পর্যায়ে ৫ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শূন্য আয় (করযোগ্য সীমার নিচে বার্ষিক আয়) দেখিয়ে আগে রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও আগামী দিনে স্লিপ (প্রাপ্তিস্বীকারপত্র) পেতে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। আর রিটার্ন জমার স্লিপ না নিলে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে না। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নকশা অনুমোদনসহ সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না।
তবে মূল্যস্ফীতি বিবেচানায় কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সীমায়। পুরুষদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব চার লাখ টাকা, প্রতিবন্ধীর ৪ লাখ ৭৫ হাজার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া নন লিস্টেট কোম্পানির এক ব্যক্তি কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ, আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্তি কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২০ শতাংশ। তবে করপোরেট কর হার অপরিবর্তিত রয়েছে।
নানামুখী চাপের মধ্যে দাঁড়িয়েও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে’ যাত্রার প্রত্যাশা রেখে ভোটের আগে রেকর্ড ঘাটতির যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তার ১৭ শতাংশের বেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জোগাড় করতে হবে। ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন এর মধ্যে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যা বাস্তবায়ন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও তার আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আগামী অর্থবছরে ৬টি চ্যালেঞ্জ দেখছেন অর্থমন্ত্রী। এরমধ্যে অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি মোকাবিলা। বাকিগুলো হচ্ছে-মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনর ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আইএমএফ’র পরামর্শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে মূল্য সমন্বয় করতে ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয় পদ্ধতি চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার চালিকা শক্তি হচ্ছে তরুণ-তরুণী। এদের প্রস্তুত করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্ত বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে নতুন ৮০ হাজার তরুণ-তরুণীকে।

 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর