যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭ বছর পর নারীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর

আজকাল রিপোর্ট
বুধবার ভোরে ইন্ডিয়ানার টেরে হোতে কারাগারে একজন নারীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। বিগত ৬৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে দুজন নারীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো। এর আগে ১৯৫৩ সালে খুনের দায়ে অভিযুক্ত আর একজন নারীকে গ্যাস চেম্বারে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
গত বুধবার জীবনঘাতী ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় লিসা মন্টগোমারীর। ৫২ বছর বয়সী লিসার বিরুদ্ধে একজন গর্ভবতী নারীকে হত্যা ও তার গর্ভস্থ সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ ছিল। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের তালিকায় লিসাই ছিলেন একমাত্র নারী। তিনি ২০০৪ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। লিসার বিরুদ্ধে ববি জো স্টিনেট নামে ২৩ বছর বয়সী আট মাসের গর্ভবতী এক নারীকে গলা টিপে হত্যা করার পর এবং রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে তার পেট কেটে গর্ভস্থ শিশুকে বের করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। পরদিনই লিসা ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এই শিশুর বয়স এখন ১৬। সে তার বাবার কাছে রয়েছে।
লিসার আইনজীবী তার দন্ড কার্যকর রহিত করার জন্য আদালতে পেশ করা আবেদনে লিসার জীবনের করুণ কাহিনী তুলে ধরেন। তিনি লিসাকে মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ ও বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন এক নারী হিসাবে উল্লেখ করেন। ১১ বছর বয়স থেকেই লিসা তার সৎ পিতার হাতে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এমনকি তার মা পয়সার বিনিময়ে তাকে ধর্ষণের জন্য গ্যাং সদস্যদের হাতে তুলে দিত। লিসা এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট লিসার আইনজীবীর আবেদন নাকচ করে দেয়। এর পরই তার মৃত্যুদন্ড কার্যকরে সব বাধা অপসারিত হয়। উল্লেখ্য, এটি নিয়ে গত একশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল বিধিতে ৪৭ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো।
- আনএমপ্লয়মেন্ট প্রতারণা
ফেঁসে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা - পেন্স-কমলা মুখোমুখি হচ্ছেন
- ১৭ বছর পর মৃত্যুদন্ড কার্যকর
- নিউ জার্সির হাডসন নদী থেকে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার
- দেশে টাকা পাঠালে নাগরিকত্ব নয়!
- জনগণ চায় দেশ খুলে দেওয়া হোক: ডোনাল্ড ট্রাম্প
- চোখে এলার্জি সমস্যা ও প্রতিকার
- পরীমনির বাগদান শেষ, এখন বিয়ের অপেক্ষা
- পিরিয়ড সমস্যা থেকে নানা জটিল রোগ হতে পারে
- বাংলাদেশে সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছেন প্রবাসীরা