যুক্তরাষ্ট্রে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উৎকণ্ঠা
আজকাল রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার এই ঘটনায় স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবীরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসা এখনো সুদূরপরাহত। তাই তাঁরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
গত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ৭০ হাজার লোককে নতুন করে সংক্রমিত হতে দেখা গেছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত সাত দিনের গঢ় সংক্রমণ আগের সাত দিনের চেয়ে ১০ হাজার বেশি। জানুয়ারি মাসে তৃতীয় দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির চেয়ে এই সংখ্যা কম। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে কয়েক কোটি লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়া, মিশিগানসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে গত সাত দিনে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
করোনাকে প্রাণঘাতী রোগ উল্লেখ করে ২৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মহামারি মোকাবিলায় তাদের কাজ এখনো অনেক বাকি। তবে তিনি ফোর অব জুলাই স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশকে করোনা মুক্ত করতে চান। এ লক্ষ্যে আগামী ১ মে’র মধ্যে সবাইকে টিকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, করোনার রূপান্তরিত ভাইরাস দ্রুত সংক্রমণ ঘটাচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যসেবীরা। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ‘বি.১.১.৭’ নামের রূপান্তরিত ভাইরাস ফ্লোরিডা ও নিউজার্সিতে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
তৃতীয় দফা সংক্রমণের ঢেউ কমার পর আমেরিকার সর্বত্র এক ধরনের ঢিলেমি দেখা যায়। বেশ কিছঠ অঙ্গরাজ্যে স্বাস্থ্য সতর্কতা উঠিয়ে দেওয়া পর্যন্ত হয়। আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বাইরে বেরিয়ে পড়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমলে ভিড় বাড়ছে। লোকজন অসতর্কভাবে চলাফেরা করছে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের চিকিৎসক আবড়ার ক্যারেন বলেছেন, সবকিছু উন্মুক্ত করে দিলে লোকজন বেরিয়ে পড়বে। এতে সংক্রমণ বাড়বে।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষকে এখন পর্যন্ত পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখন প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ লোককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আরও অন্তত দুই মাস এভাবে টিকা দেওয়া হলে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যসেবীরা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ ছিষট্টি হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা যাচ্ছে।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর দেশ আমেরিকায় তিনটি পৃথক টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফাইজার ও মডার্নার টিকা দুই ডোজ করে নেওয়ার পর আরও তিন থেকে চার সপ্তাহ অপেক্ষা করে চলাচলের জন্য লোকজনকে বলা হচ্ছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা আমেরিকার সর্বত্র ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোয় দ্রুততার সঙ্গে টিকা সরবরাহ করা হলেও অবকাঠামো ও লোকসংকটের কারণে টিকাদান ব্যাহত হচ্ছে।
আগামী ১ মের আগেই আমেরিকার সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পূর্ণ ডোজের জন্য আগামী জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অল্পবয়সীদের জন্য টিকা গ্রহণ ইতিমধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের পরিচালক ডা. ক্রিস্টোফার মারই বলেছেন, যারা চিন্তা করছে টিকা গ্রহণের পর একটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, তাদের আরেকবার ভেবে দেখতে হবে। প্রথম পর্যায়ের প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি ঘটতে যাচ্ছে বলে এখনই মনে করার কোনো কারণ নেই।
ক্রিস্টোফার মারই বলেছেন, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে একমাত্র সুসংবাদ হলো যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি টিকাই করোনার সব ধরনের রূপান্তরের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
- আনএমপ্লয়মেন্ট প্রতারণা
ফেঁসে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা - পেন্স-কমলা মুখোমুখি হচ্ছেন
- ১৭ বছর পর মৃত্যুদন্ড কার্যকর
- নিউ জার্সির হাডসন নদী থেকে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার
- দেশে টাকা পাঠালে নাগরিকত্ব নয়!
- জনগণ চায় দেশ খুলে দেওয়া হোক: ডোনাল্ড ট্রাম্প
- চোখে এলার্জি সমস্যা ও প্রতিকার
- পরীমনির বাগদান শেষ, এখন বিয়ের অপেক্ষা
- ২ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন প্যাকেজ
কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাইডেনের প্রস্তাব - পিরিয়ড সমস্যা থেকে নানা জটিল রোগ হতে পারে