আজকাল ও একটি কথিত মানহানির মামলা
আজকাল রিপোর্ট
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘আজকাল’-এর বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়েরের খবর এখানকার কয়েকটি বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দুটি প্রিন্ট মিডিয়া এবং একটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরটি আজকাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই পত্রিকাগুলির খবর ছাড়া মামলা দায়েরের আর কোন তথ্য আজকাল অবগত নয়। আদালতের কোন কাগজপত্র আজকালের হস্তগত হয়নি।
সংবাদপত্র জগতের প্রথা অনুযায়ী প্রকাশিত কোন খবর সম্পর্কে কারো আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় তার একটি প্রতিবাদ পাঠাতে হয়। কিন্তু ‘আজকাল’ পত্রিকার কথিত খবরটি সম্পর্কে কোন প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের হাতে আসেনি। প্রতিবাদপত্রের বদলে প্রায় সাড়ে চার মাস পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মামলা দায়েরের ঘোষণা দেয়া হলো। সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণাটি দিলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি মামলার বাদীও নন, বাদীর অ্যাটর্নিও নন। একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিনি নাকি মামলা দায়ের করে বেড়ান। নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য কমিউনিটিতে বিশেষ পরিচয়ে পরিচিত, প্রতারণার দায়ে জেল খাটা একজন আসামী, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপি’কে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে পরিণত করার প্রয়াসে আদালতে আর্জি দায়েরের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত এই ব্যক্তি নাকি মামলার বাদী সাপ্তাহিক রানার পত্রিকার প্রকাশক ডা. আবু এম হকের অনুমতি নিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন। রানার পত্রিকার কেউ না হয়েও সেই পত্রিকার পক্ষ থেকে ‘আজকাল’-এর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা দায়ের এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে এর ঘোষণা দেয়া তার দুরভিসন্ধীর পরিচায়ক বলেই আজকাল মনে করে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে ‘আজকাল’কে আমন্ত্রণ জানান হয়নি।
গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক সম্মেলনের খবর ১২ মার্চ একটি প্রিন্ট মিডিয়ায় এবং ১৩ মার্চ একটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর গত ২২ মার্চ আর একটি বাংলা পত্রিকা সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বানকারী ব্যক্তির একটি বড় ছবিসহ খবরটি প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, যে তিনটি মিডিয়ার খবর ‘আজকাল’ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে সেগুলিতে তথ্যগত গরমিল রয়েছে। একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে ‘আজকাল’-এ সংশ্লিষ্ট খবরটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর। অন্য পত্রিকায় এ তারিখ গত ২৩ অক্টোবর বলা হয়েছে। একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট খবরটির সাথে বাদীর ছবি ছেপে তার মানহানি করা হয়েছে, সে খবরে মূল খবরটি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। মামলার বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি পত্রিকায় মনজুর আহমদকে সম্পাদক আবার একটি পত্রিকায় প্রধান সম্পাদক উল্লেখ করা হয়েছে। একটি পত্রিকায় হাসানুজ্জামান সাকীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সহযোগী সম্পাদক হিসাবে। অন্য একটি পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টার। বাস্তবে তিনি আজকাল-এর কোন পদেই অধিষ্ঠিত নেই। একটি পত্রিকার খবরে সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বানকারী উক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আজকাল’ যদি ডা. এম এ হকের প্রতিবাদ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে এবং এ যাবত মামলার কারণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা পরিশোধে সম্মত হয় তাহলে ডা. এম এ হক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করবেন’। মামলা দায়েরের আগেই এ ধরনের অযাচিত শর্ত অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই প্রতীয়মান হয়।
- আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করতে হয় কেন?
- করোনাকালে কর্মকাণ্ড প্রশংসিত
মানবতার সেবায় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ - ব্রঙ্কসে বৃহত্তর পরিসরে খলিল বিরিয়ানি
- হাদিসে বর্ণিত সূরা ফাতিহার ফজিলত
- প্যাপিরাসে লেখা হাজার বছরের পুরনো কুরআন
- ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত সহকর্মীর পাশে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তারা
- ডেমোক্র্যাট হয়েও ভোট দিয়েছি ট্রাম্পকে নাসরীন আহমেদ
- সাপ্তাহিক আজকাল সংখা ৬৩৪
- ড. প্রদীপের বক্তব্যের জবাবে ড. সিদ্দিক
সভাপতি না হতে পেরে ক্ষোভ, অপপ্রচার - ৩৫ বছর পর গ্রিনকার্ড পেয়েও দেখতে পেলেন না দরবার হোসেন