বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৪ ১৪৩১   ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১০৬৭

তারুণ্যের বিজয় ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের জাল ভেদ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল বাংলাদেশের শিশির ভেজা মাটি। অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, মুক্তির দিবস।

দিনটি আমাদের সকলের অতি প্রিয়, অতি আনন্দের। নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বিজয় দিবস পালন করি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। কিন্তু বিজয় দিবসের গুরুত্ব কমেনি এতটুকু।

এই দিনটির মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্ম ও বিশ্বকে বার বার মনে করিয়ে দেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা, শহীদদের কথা এবং বাংলাদেশ নামে একটি দেশের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের কথা।

 

এই দিনকে নিয়ে বড়দের মতো আমাদের তরুণ প্রজন্মের কল্পনায়ও উঁকি দেয় কতো কথা কতো স্বপ্ন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানাচ্ছেন রুমান হাফিজ।

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আবীর আলীর স্বপ্ন, প্রতিটা বাংলাদেশীর মতো আমিও স্বপ্ন দেখি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের। যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্নটা পূরণ করতে পারবো এমনটাই আশা। বাক-স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এদেশে যেনো আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। এই আকাশ-কুসুম কল্পনা একদিন বাস্তবায়িত হবে এদেশে। তাহলেই মানুষ জানতে পারবে সত্যটা। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে পিষ্ট হয়ে কালের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এই আগ্রাসন বন্ধে তৎপর হতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতার কালো আলখাল্লা আমাদের দেশটাকে আরো পিছনে নিয়ে যেতে চাইছে। সকলে মিলে প্রতিরোধ না করলে পিছিয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না আমাদের।

 

তবে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের কন্ঠে ভিন্ন সুর, বর্তমানে বাংলাদেশ অনেকাংশে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে এদেশের নারী সমাজ। বিজয়ের এত বছর পরও নারীরা পিছিয়ে থাকার কারণগুলো হল, দৃষ্টিভঙ্গি, নিরাপত্তা এবং সচেতনতার অভাবসহ আরো অনেক কারণ। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী হল নারী আর এই নারীদের পেছনে রেখে দেশের উন্নতি অসম্ভব। রাজনীতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, খেলাধুলা সর্বত্রই তারা নিজেদের প্রমাণ করে চলেছেন। ঘর সামলানো থেকে শুরু করে রাষ্ট্র, বিশ্বে নেতৃত্বেও পিছিয়ে নেই নারীরা। তাই বিজয় দিবসে প্রত্যাশা করি এমন একটি নারী সমাজ যে সমাজে থাকবে না কোন বাঁধা, নারীরা থাকবে স্বাধীন, দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে থাকবে নারীর পদচিহ্ন , নিরাপদ থাকবে প্রতিটি নারী।

 

বাংলা বিভাগের নাজনীন সুরভী বলছিলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনের কথা যদি বলি নি:সন্দেহে ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ এ বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়- রবি। রক্তনদীর উজান বেয়ে যে বিজয় আমরা পেয়েছি, সে বিজয় দিবস আমাদের জাতির সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার। চরম শোক ও পরম গৌরবে মন্ডিত মুক্তিযুদ্ধের পর সেই ডিসেম্বরে আমরা এটাই প্রমাণ করেছিলাম যে জাতি হিসেবে আমরা মোটেই ছোট কিংবা দূর্বল নই। আমাদের প্রয়োজন শুধু একাত্মতা পোষণের। আমরা জাতীয় জীবনে বারবার এক হতে চাই সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য যাঁরা ছিনিয়ে এনেছিল, তাঁদের একফোঁটা রক্তেরও যেন অমর্যাদা না হয়। পরাধীনতার শিকল থেকে বের হওয়া সেই বঙ্গবীরদের মতোই যেন লাল সবুজের পতাকা আমরা তরুণ প্রজন্ম মাথা উঁচু করে ধরতে পারি।

 

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর মাহমুদ অনুভূতি, বছর ঘুরে আবার এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১-এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত হয় বাংলাদেশ নামক নতুন এক রাষ্ট্রের। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমাদের অর্জনের খাতায় যুক্ত হয়েছে অনেক কিছুই। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জ্ঞান বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা, সামাজিক নিরাপত্তা, সুসাশন, জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। আমার প্রত্যাশা, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সকল অপশক্তি ও ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের দেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তির দেশে পরিণত হবে। একই সাথে অনন্তকাল ধরে স্হায়ী হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।

 

 

আর বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমেনা সুমি 'প্রত্যাশা-প্রাপ্তির' দিক থেকে বলছিলেন, ডিসেম্বর মাস এলেই বিজয়ের মহা উল্লাসের কথা মনে পড়ে। বিজয় মানে আনন্দ, বিজয় মানে প্রেরণা। বিজয় এক স্বর্গীয় অনুভূতির নাম। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। বিজয় অর্জনের পর বাংলাদেশিরা বিশ্বের বুকে এক অপরাজেয় জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এ বিজয় এখনো যেকোনো ক্ষেত্রে আমাদের জয় ছিনিয়ে আনতে সাহস যোগায়। ইতিহাসের এক হিংস্র ও নিকৃষ্ট পাক বাহিনীর কাছ থেকে যদি আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি, তাইলে আজ কেন আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ দলাদলি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পাশবিকতাকে পরাভূত করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনা। আসুন একাত্তরের সেই ঐক্যবদ্ধ ও ত্যাগী শক্তি থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে তা কাজে লাগিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বিজয়ের সেই স্বাদ প্রকৃতভাবেই অনুভব করি।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর